চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুননির্মাণের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতার স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়।
পাকিস্তানি আদলে তৈরি বর্তমান শহীদ মিনার শহীদদের প্রতি অবমাননার শামিল। তাই এটি অনতিবিলম্বে সংস্কার করে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণ করার দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাবেক সহ-সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, সাবেক সহ-সভাপতি আল-আমিন রিমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন জেমস, সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন সুমন স্বাক্ষর করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ মিনার পুননির্মিত হয় বিএনপি-জামাতের জোট সরকারের আমলে। কিন্তু বর্তমান শহীদ মিনার জাতীয় শহীদ মিনারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যা বাংলাদেশের ইতিহাসের সকল আন্দোলন, সংগ্রাম, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এতে আরো বলা হয়, ৫৪'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১'র মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রলীগ অপরিসীম অবদান রাখে। তাই জাতীয় শহীদ মিনারের সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ণ এই শহীদ মিনারের পুননির্মাণ চায় ছাত্রলীগ।
জানা যায়, পাকিস্তানের লাহোরের ইকবাল পার্কে নির্মিত 'মিনারে পাকিস্তান' দেখতে চবি'র শহীদ মিনারের মতই। তবে উক্ত স্তম্ভের উপরে গম্ভুজ থাকলেও চবির শহীদ মিনারের উপরিভাগে আনারসের আদল দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন সুমন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোয়াজ্জেম জেমস বলেন, বর্তমান শহীদ মিনারটি পাকিস্তানের একটি মিনারের পরিপূরক। এটি ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যাওয়ার আগে জাতীয় শহীদ মিনারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এই মিনার বীর শহীদদের জন্য অবমাননাকর।
আরেক সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান বলেন, এ শহীদ মিনার যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
এ ব্যাপারে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন বলেন, এটি অনেক আগের শহীদ মিনার। খুব শিগগিরই এর সংস্কার করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন