২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০২:০৪

মধ্যরাতে ইবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৬

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

মধ্যরাতে ইবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৬

মধ্যরাতে জুনিয়র-সিনিয়র কোন্দলকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে একজন গুরতর আহতসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।

আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরতর আহত হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল চাকমাকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের সামনে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে পেছন থেকে ডাক দেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন। পরে কামাল ভুল বুঝেতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন। জেবিয়ার কামালকে পরে দেখা করতে বলেন। পরে কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে জিয়া হলে জেবিয়ারের রুমে (১২৭) দেখা করতে যায়। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করে কামাল ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধান করেন। 

এদিকে, রাত ১১টার দিকে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর রুমে কামাল অবস্থান করছে সংবাদ পেয়ে জেবিয়ার তার বন্ধু ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ প্রায় ১০-১৫ জন কর্মী নিয়ে তার রুমের সামনে যায়। এসময় কামাল রুম থেকে বের হলে তারা দরজায় লাথি দেয় এবং জানালার গ্লাস ভাংচুর করেন। এরপর কামালকে না পেয়ে তারা হল থেকে বের হয়ে আসলে জিয়া মোড় এলাকায় জিয়া হলসহ অন্যান্য হলে থেকে আসা কামালদের গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে জেবিয়ারের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এসময় তাদের হাতে লাঠিসোটা, দেশিয় অস্ত্র দেখা যায়। এতে হিমেল চাকমা, জেবিয়ার, রাফসান, রিয়ন, সাব্বির এবং রাব্বি আহত হন।

পরে ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আলো, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, বিপুল খান, অনিক, শাহজালাল সোহাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। 

ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘সিনিয়র এবং জুনিয়রদের মাঝে যে ঝামেল হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাধাণ করেছি।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রক্টরিয়ল বডি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ছাত্রলীগ নেতারা বিষয়টি সমাধান করছে দেখে তাদেরকে উৎসাহ দেই। ঘটনাস্থলের পাশে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ 

 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর