২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:৫১

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি উপাচার্যের কাছ থেকে ল্যাপটপ পেল চার শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি উপাচার্যের কাছ থেকে ল্যাপটপ পেল চার শিক্ষার্থী

করোনা চলাকালীন পড়ালেখার সঙ্গে ইন্টারনেটের সখ্য আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে রাত জেগে ঘাটাঘাটি করে সকালে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন দেখেন ল্যাপটপের সমস্যার কারণে অক্লান্ত পরিশ্রম মাটি হয়ে যাচ্ছে, তখন উচ্ছ্বাসের আকাশে মেঘ জমে যায় মুহুর্তে! 

ক্লাসরুমে নিয়মিত উপস্থিত থাকা, টিউটোরিয়াল-সেমিস্টার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আর সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সাফল্য ধরে রাখা রাখায় চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) উপাচার্যের কাছ থেকে ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে ল্যাপটপ পেয়েছেন চার কৃতী শিক্ষার্থী। 

তারা হলেন: তিথি দত্ত (ইংরেজি), জান্নাতুল ফেরদৌস (এলএলবি), তাহমিনা আজিম (কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) ও জোবায়ের তৌসিফ মাশফি (বিবিএ)। 

উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীর পক্ষে গত ২১-২৩ সেপ্টেম্বর সিআইইউর চারটি স্কুলের (অনুষদ) ডিনবৃন্দ পৃথকভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে এসব ল্যাপটপ তুলে দেন। 

এই সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, বিজনেস স্কুলের ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এইচআরএমের বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. আসিফ ইকবাল, স্কুল অব ল’র সহকারি ডিন মোহাম্মদ আকতারুল আলম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা, সিআইটিএসের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী ল্যাপটপগুলো শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে কাজ করবে উল্লেখ করে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক বৈপ্লবিক পরবির্তন এনেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধি ক্লাস-রুমের বাইরে নানান স্তরে পৌঁছে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সাফল্যই আমার আনন্দ- বলে এই সময় অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন সিআইইউর উপাচার্য। 

এদিকে সিআইইউর উপাচার্যের কাছ থেকে ল্যাপটপ উপহার পেয়ে দারুণ খুশি শিক্ষার্থীরা। বিবিএর ছাত্র জোবায়ের তৌসিফ মাশফি বলেন, উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ। সত্যিই করোনার এই সময়ে একটি ল্যাপটপের ভীষণ অভাব বোধ করছিলাম। 

ইংরেজি বিভাগের আরেক ছাত্রী তিথি দত্ত তো খবরটি শুনে চমকে গিয়েছিলেন। তার ভাষায়, ‘ভাবতেই পারিনি এমন উপহার পাব। সাফল্য ধরে রাখতে এখন নিজের সঙ্গে নিজের চ্যালেঞ্জটা আরও বেড়ে গেল।’

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর