আগামী ৫ অক্টোবর স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল। এদিকে, হল খোলার দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব হলে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, এটা দুঃখের বিষয় যে গত কমিটির পাঁচ বছর হয়ে গেছে। করোনার কারণে দেড় বছর ধরে হল বন্ধ। হল বন্ধ না থাকলে এতদিনে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়ে যেত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কমিটি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও কমিটি হয়নি। আমরা চাই ৫ অক্টোবর হল খোলার যত দ্রুত সম্ভব দীর্ঘদিন যারা পরিশ্রম করেছে, তাদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব। পরবর্তী সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ক্যাম্পাস খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যেই হলে কমিটি দিয়ে দেব। যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়, সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন করছেন তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে, শুধু খোলার অপেক্ষায় আছি। প্রত্যাশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যেই কমিটি দিতে পারব।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি নেই। সর্বশেষ হল কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ওই দিন এক বছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৮টি হল শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্রলীগের উদ্যোগে স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবার জন্য ‘মেডিকেল ক্যাম্প’ ও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ প্রভৃতি কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই