নানা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মুজিববর্ষ আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২১’। ইতিমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ শেষ হয়েছে। খুলনা বিভাগে সরকারি ব্রজলাল কলেজে ২২ নভেম্বর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। উপাচার্য এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এক্সটাকারিকুলাম অ্যাকটিভিটিতেও মনোযোগ দিতে হবে। সৃজনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মনোজগত পরিশালিত হয়।
ঢাকা বিভাগে একই তারিখে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, ‘করোনার পরে সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’ একই তারিখে রাজশাহী বিভাগে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার।
রংপুর বিভাগে ২৪ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চমৎকার এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে আপনারা নিজেদেরকে সহপাঠদান কার্যক্রমে আরও বেশি শাণিত করবেন। এর মাধ্যমে আপনাদের সুপ্ত প্রতিভার যেমন বিকাশ ঘটবে, তেমনি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে হবেন আত্মপ্রত্যয়ী।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: আতাউর রহমান জানান, মুজিববর্ষ আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২১ এ সারাদেশে ক্রীড়ায় ৬টি ইভেন্ট এবং সাংস্কৃতিতে ৯টি ইভেন্টে প্রায় ২০০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ৭২ জন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৯৬ জন বিজয়ী হন। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে মেডেল ও বই (বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী) প্রদান করা হয়েছে। এই বিজয়ীরা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করবে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১১ ডিসেম্বর আর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর (২০২১)। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ২৭জন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৩৬জনকে নির্বাচিত করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে মেডেল, সনদ ও বই (বাংলা অভিধান, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়া চীন) উপহার দেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
