৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৫৯

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উত্তপ্ত আনন্দ মোহন, হল বন্ধ ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উত্তপ্ত আনন্দ মোহন, হল বন্ধ ঘোষণা

আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটকে জেলার অধীনস্থ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ময়মনসিংহ মহানগরীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ আনন্দ মোহন কলেজ। এ নিয়ে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেয়। 

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, শনিবার
রাত সাড়ে আটটার মধ্যে ছেলেদের এবং আগামীকাল রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে মেয়েদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়। দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অনেকটা বাধ্য হয়েই হল ত্যাগ করেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। কলেজের অবস্থান মহানগরের ভেতরে হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত হয় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগসহ সাবেক ছাত্রলীগের অনেক সিনিয়র নেতারাও। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন খোদ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম।

এমন সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে এহতেশামুল আলম তার স্ট্যাটাসের একাংশে লিখেন,‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে ময়মনসিংহ মহানগরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিতে হবে।’

এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কলেজ ছাত্রলীগের একটি অংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং কলেজ শাখাটি মহানগর শাখায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। বেলা ১২ টার দিকে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ হঠাৎ দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক নেতার দাবি, জেলা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কলেজে এসে ককটেল ফাটিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি-তদন্ত ফারুক হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর