‘বৈচিত্র্যের শক্তিতে বিকশিত হোক জুম ভাষা ও সংস্কৃতি’- এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিত হয়েছে আদিবাসীদের চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের উৎসব বিজু-সংগ্রাই-বৈসু-বিষু-চাংক্রান। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ফুল ভাসিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ প্রথমবারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সংগঠনের সভাপতি রাতুল তংচঙ্গ্যা এবং সাধারণ সম্পাদক নুথোয়াই মার্মা উপস্থিত ছিলেন।
উৎসব উপলক্ষে জগন্নাথ হল থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা; সংবিধান অনুযায়ী বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; পয়লা বৈশাখের মতো বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিষ্ণু-চাংক্রান উৎসবের সময়ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত তিন দিন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা; সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পাহাড়ের আদিবাসীদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে আদিবাসীদের ভাষা নিয়ে গবেষণা ও ভাষাশিক্ষা কোর্স চালু করা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই