চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলের সামনে এ সংর্ঘষ হয়। বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকালের ঘটনার জেরে আজ দুপুর ১টায় আইন অনুষদের সামনে সিএফসির কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বিক্রম রায়কে মারধর করেন বিজয় উপপক্ষের নেতা-কর্মীরা। এতে সিএফসির ক্ষুব্ধ কর্মীরা বিজয় উপপক্ষের সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের সুরঞ্জিত অধিকারী ও একই বর্ষের সমাজতত্ত্ব বিভাগের মাহমুদুল হাসানকে মারধর করলে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এরপর বিজয় উপপক্ষের নেতা-কর্মীরা আলাওল, এ এফ রহমান ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে লাঠিসোঁটা, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে বের হয়ে শহীদ আবদুর রব হলের দিকে যান। একপর্যায়ে তাদের ধাওয়া দেন সিএফসির নেতা-কর্মীরা। পরে তারা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে জড়ো হন। সিএফসির নেতা-কর্মীরা জড়ো হন শাহ আমানত হলের সামনে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির পর দুই উপপক্ষের নেতা-কর্মীদের ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। এর সঙ্গে কারা জড়িত ছিলেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগের দিন রবিবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো নিয়ে রবিবার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেনের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামানের। মোবারক বিজয় উপপক্ষের ও মনিরুজ্জামান চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার সিএফসির অনুসারী। এর জেরে গতকাল বিকেল পাঁচটায় ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট এলাকায় মনিরুজ্জামানকে পিটিয়ে জখম করেন বিজয় উপপক্ষের মোবারক হোসেনসহ ১০–১৫ জন নেতা-কর্মী।
এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন সিএফসির অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক খালেদ মাসুদ। এরপর থেকে দুই উপপক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ