৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৫৫

ঢাবির হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবির হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ঢাবির হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হলের বেশ কিছু কক্ষও ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি। 

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঙ্গে অন্যদের এ সংঘর্ষ ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম অভিযোগ করেন, হলের দক্ষিণ ভবনে সিট সংক্রান্ত কারণে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়। এসময় আমি আমার রুমে বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে রাতের খাবারের আয়োজন করছিলাম। রাত দেড়টার দিকে ৮-১০ জন অতর্কিতভাবে দেশীও অস্ত্রসহ আমার রুমে হামলা করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের নির্দেশে তারা হামলা করেছে। পরে দ্বিতীয় দফায় শহিদুল্লাহ হলের সৈকতের অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে হলের দক্ষিণ ভবনের বিভিন্ন রুমে রুমে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। এসময় ফজলুল হক হলের ১৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে ‘হামলার নির্দেশ দিয়েছেন’-এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, নাঈমই আমাকে বিষয়টি ফোন করে জানায়। পরে আমি নিরপেক্ষ উৎস থেকে জানতে পারি, নাঈম ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে তা মিথ্যা। 

সৈকত বলেন, মঙ্গলবার রাতে ফজলুল হক হলের আমার অনুসারীদের ব্যতীত তারা বৈঠক করেছিলো। পরে হলের ৫০০৬ নং রুম থেকে পারভেজ নামে আমার এক অনুসারীকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় তারা। পরে আমার অনুসারীরা সংগঠিত হয়ে ওই তালা ভেঙে পারভেজকে উঠিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আমার অনুসারীদের উপর সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায়। এতে অন্তত সাতজন গুরুতর আহত হয়েছে। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের কথাও জানিয়েছেন সৈকত।

এদিকে, ঘটনার বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুমকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ কখনই পেশিশক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যে বা যারাই সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের সাথে যুক্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর