জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে বেড়েই চলেছে চুরি ঘটনা। কখনো কখনো চোরের হাতে ছাত্রীদেরকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত ১২ মার্চ ভোররাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের আবাসিক হল বেগম সুফিয়া কামাল হল, বেগম খালেদা জিয়া হল এবং শেখ হাসিনা হলে একযোগে হানা দেয় কয়েকজন ছিঁচকে চোর। এসময় চুরি করতে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হেনস্তা করেন তারা।
এর আগে গত ৭ মার্চ ভোররাতে শেখ হাসিনা হলেও একই ঘটনা ঘটে। সেসময় ওই হল থেকে ১১'শ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় এক যুবক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, 'পর পর তিনটি হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এতে আতংকে রয়েছেন তারা।'
এদিকে আজ দুপুরে হলগুলোকে সিসিটিভির আওতায় এনে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ ও বিচরণ বন্ধ করা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বরাবর স্মারকলিপি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত রবিবার রাতে এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- হলের চারপাশের দেওয়ালের উচ্চতা বাড়ানো, হাইওয়েতে সিসিটিভি লাগানো ও মনিটরিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল রাখা, হলের চারপাশে পর্যাপ্ত ফ্লাড লাইট লাগানো, গার্ডের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা, নিচ তলার প্রতিটা রুমের উইন্ডো কেসিং লাগানো, হলের পেছনের দিকে হল এটেন্ডেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, হল সুপারের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, নিচ তলার ডাইনিং ও গণরুমে জানালায় পর্দা লাগানো, শিক্ষার্থীদের নিরপেক্ষ জবাবদিহি চাওয়ার অধিকার নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। এছাড়া হলের 'অনাকাঙ্ক্ষিত' ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটি আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবে।'
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন