গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন। এরপরেই শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের সভাপতিত্বে একই স্থানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. মোবারক হোসেন, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা প্রমুখ।
আলোচনা সভার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, জাতির পিতার জন্মদিবসকে জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করার মাধ্যমে শিশুরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং জাতির পিতার আদর্শ ও দর্শন সম্পর্কে জানতে পারছে। শিশুরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে তাহলে তারাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিবে।
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
কেক কাটা অনুষ্ঠানের পূর্বে শহীদ মিনারে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
