চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে বৃদ্ধি করাসহ তিন দফা দাবিতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের কর্মসূচির কথা জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এসময় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার দাবি বাস্তবায়ন করা না হওয়া পর্যন্ত ‘ভাতের একটি দানাও গ্রহণ করবেন না’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব এ আর খোকন। এতে তিনি বলেন, ২০১১ সালে সরকারি চাকরি অবসরের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি এবং চাকরি শেষে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ স্বাভাবিক চাকরি প্রক্রিয়া ক্ষেত্রে অন্তরায়। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশনে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে (বিজেএস) আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর, সরকারি নার্সিং-এ ৩৫ বছর এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজে ৩৫ বছর। দুঃখজনক হলেও সত্যি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সরকারি মানদণ্ড অনুযায়ী ৩০ বছরকেই অনুসরণ করে। বাংলাদেশের জাতীয় যুব নীতিতে ১৮-৩৫ বছর বয়সীদের যুবক বলা হলেও ৩০ বছর হলেই তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
তাদের অন্য দুটি দাবি হলো-চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং একই তারিখে একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই