ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আসামিদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে ‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে তারা শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের পর বেলা দেড়টার দিকে তারা এই আলটিমেটাম দিয়ে সরে যান। শাহরিয়ার হত্যার সব আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার, সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সকল বিভাগ ও বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা ঢাবি ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারাকে শাহবাগ থানার ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘খুনি কেন বাইরে, প্রশাসন কী করে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, শাহবাগ থানা জবাব চাই’-সহ নানা স্লোগান দেন।
এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১০-১২ জন জড়িত থাকলেও মাত্র তিনজনকে গ্রেফতার করাকে আইওয়াশ বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা।
শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, এটি একটি নির্দলীয় ব্যানার। সাম্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টালবাহানা শুরু করেছে। তাদের মুখ্য দাবি বিভিন্ন জনের পদত্যাগ। কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচার। আমরা কারও পদত্যাগের দাবি নিয়ে এখানে আসিনি।
সাম্যর সহপাঠী শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মশিউর রহমান শুভ বলেন, সাম্য হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে যে ছুরিকাঘাত করেছিল সে গ্রেফতার হয়নি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আগামী রবিবার পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এসময় বিশদ আলোচনার জন্য কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল থানায় প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক মু. আব্দুস সালাম, অসীম দাস ও মু. সিরাজুল ইসলাম ও শিক্ষার্থীরা ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান।
বিডি প্রতিদিন/একেএ