আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে সিলেটে ঈদ আনন্দে বাগড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতের সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা ১১টার দিকে নগরীসহ বিভিন্ন স্থানে আকাশ ভেঙে মোষলধারে বৃষ্টি নামে। এতে অনেকটা মাটি হয়ে যায় ঈদ আনন্দ।
গত টানা দুই বছর ছিলো করোনার দাপট। তাই ৪টি ঈদের দিনেই নিজের ইচ্ছেমতো মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেননি। এবার পূর্ণ আনন্দে ঈদ কাটানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সিলেটবাসী। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধছে বৃষ্টি।
এর আগে মুসলিমের প্রধান পবিত্র উৎসবের এই দিনে সিলেটে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি- এমন পূর্বাভাসই দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ৪ মে পর্যন্ত সিলেটে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, দু'বছর করোনাবন্দী থাকার পর এবার সিলেটে ধর্মীয় উচ্ছ্বাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল ফিতরের নামাজ। ঈদের প্রধান জামাত ঐতিহাসিক সিলেট শাহী ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক (বরুণী)।
শাহজালাল দরগাহ মাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সাড়ে ৮টায়। নামাজের আগে বয়ান পেশ করেন দরগাহ মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী। নামাজে ইমামতি করেন হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ।
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে ঈদুল ফিতরের জামাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ইমামতি করেন বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা শাহ আলম।
বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথমটি, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয়টি ও সাড়ে ৯টায় তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, টিলাগড় মাদানী ঈদগাহ, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদ, রেজিস্টারি মাঠ, সিলেট জর্জ কোর্ট জামে মসজিদ, মদিনা মার্কেট জামে মসজিদসহ নগরের ৪৪৪টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সূত্রে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন মসজিদে ৩৫৩টি ও ঈদগাহে ৯১টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ পড়তে পারেন সেজন্য আজ সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে পুলিশ প্রশাসন।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত