বৃহস্পতিবার সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলাকারী ৫ জনকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার করা হয় এ ৫ জনকে। তারা হলেন- গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১), ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ (২১), নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিলেটের জাফলংয়ে বেড়াতে আসা লাখো পর্যটকের মধ্যে ছিলো ঢাকার একটি পরিবার। এ দলে ৮ নারী ও শিশুসহ তারা ১২ জন ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে কাউন্টারে এক শিশুর টিকিট কেনাকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে কাউন্টারের স্বেচ্ছাসেবকদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কাউন্টারে থাকা উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক লাঠি, কাঠের টুকরো ও লোহার পাইপ দিয়ে পর্যটকদের বেধড়রক মারধর শুরু করেন। তখন পাশে থাকা এক তরুণী ও কোলে শিশুবাচ্চা নিয়ে এক নারী হামলা থামানোর চেষ্টা করলে তারাও হামলার শিকার হন। এসময় নারীদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন হামলার শিকার পর্যটকরা। হামলায় ৬ নারী-পুরুষ আহত হন। পরে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই হামলার শিকার পর্যটকরা ঢাকায় ফেরেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে জানান, হামলায় আহত সুমন সরকার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লে করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা (নং-০৮(৫)২২) দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত ৫ জনকে আজ (শুক্রবার) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে থেকেই জাফলং এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। এবার নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন