সিলেটে বড় বোনের শিশু মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছিলেন এক তরুণী। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বাসার গেইটে ওই শিশুটিকে ফেরত দিয়ে রহস্যজনকভাবে ফের ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছেন নুরুন্নাহার নামে তরুণীটি। নিজের মেয়েকে ফিরে পেয়ে মা-বাবার মাঝে স্বস্তি ফিরলেও নুরুন্নাহারকে নিয়ে পরিবারে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা।
শুক্রবার বেলা ১টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় এসে বাসার গেইটে আনহা জান্নাত আশাকে (৫) ছেড়ে দিয়ে চলে যান নুরুন্নাহার। এরপর থেকে তার ফোনও বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট মহানগরীর খুলিয়াপাড়ার ১৩নং বাসায় বড় বোন জেসমিন আক্তার শিউলি ও দুলাভাই আব্দুল আহাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন নুরুন্নাহার (১৮)। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে নুরুন্নাহার তার বড় বোনের মেয়ে আশাকে নিয়ে নগরের জিন্দাবাজার যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। নুরুন্নাহারের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় আশার মা জেসমিন আক্তার শিউলি কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।শুক্রবার বেলা ১টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে এসে নুরুন্নাহার বাসার গেটে আশাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মিলছে না।
জেসমিন আক্তার শিউলি বলেন, ‘আমার বোন (নুরুন্নাহার) কেন আমার মেয়েকে নিয়ে এভাবে নিখোঁজ হলো তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। আমার মেয়েকে বাসার গেটে নামিয়ে দিয়ে সে আবার লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নুরুন্নাহারের ফোন বেশিরভাগ সময় বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদকে মুঠোফোনে একাধিবকার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত