চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তৌহিদুল আনোয়ারের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. গোলাম মো. তৈয়ব আলীকে প্রধান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী ও প্রধান সহকারি সাহদুল ইসলামকে সদস্য করে তাৎক্ষণিক এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকি বলেন, ‘বাঁশখালী হাসপাতালের আরএমও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। দ্রুত কমিটি কাজ শুরু করবে। আমি তদন্ত করতে পারবো, ব্যবস্থা নিবেন পরিচালক (স্বাস্থ্য)।’
জানা যায়, বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. তৌহিদুল আনোয়ার কর্তৃক হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানন্নোয়নে দাবিতে সিভিল সার্জন বরাবরে অভিযোগ দেন স্থানীয় সাংবাদিক হিমেল বড়–য়া বাপ্পা। ১৬টি বিষয় তুলে ধরে দেয়া এ অভিযোগে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান, রোগীদের খাবার সরবরাহে নিয়োজিত ঠিকাদারকে নিম্নমানের খাবার সরবরাহে সহযোগিতা, দালাল ও বখাটেদের সাথে সখ্যতা, অফিস সময়ে বাইরে চেম্বার করার অভিযোগ তোলা হয়। এ চিকিৎসককের কারণে হাসপাতালে উদ্ভুট পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগে জানানো হয়।
অভিযোগকারী সাংবাদিক হিমেল বড়ুয়া বলেন, চিকিৎসক ডা. তৌহিদ বাঁশখালী হাসপাতালের দুর্নীতির শিরোমণি। তার হাতেই বাঁশখালী স্বাস্থ্যখাত জিম্মি। তার নিয়ন্ত্রিত বখাটেদের ভয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আতঙ্কে থাকেন। আমি বিভিন্ন সময় হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার লালিত বখাটেরা আমাকে প্রায় সময় হুমকি ধমকি দিত। সবশেষ গত সোমবার বিকালে কয়েকজন বখাটে মিলে আমার উপরও হামলা চালিয়েছে। এরপর সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে দুর্নীতিবাজ এ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার