মাইলেজ (পার্ট অব পে) পূর্বের ন্যায় বেতন কোড ঠিক রেখে বেদন দেয়ার দাবিতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে রানিং কর্মচারীদের সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি চট্টগ্রামের নেতারা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপককে (ডিআরএম) স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপককে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে রার্নিং স্টাফদের প্রাপ্ত ‘মাইলেজ’ রেলওয়ে কোডে ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে স্বীকৃত রেল সৃষ্টির শুরু থেকে রেলওয়ে কোড এবং ম্যানুয়ালের বিধানমতে রানিং স্টাফরা মাসিক নিয়মিত বেতন বিলের সাথে অর্জিত মাইলেজ সংযুক্তভাবে পেয়ে আসছেন এবং এটি বেতন বাজেটের সাথে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০১৯ সালে আমাদের অগোচরে বেতনের অংশ মাইলেজ বেতন বাজেট থেকে আলাদা করে টিএ খাত হতে প্রদান করা হয়। তাতে নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়। ফলে টিএ খাতের কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। মাইলেজের জন্য ‘মাইলেজ ভাতা’ নামে আলাদা কোড খোলা হয়। যাহা ওই কোডে আইবাস সিস্টেমে রানিং কর্মচারীদের অর্জিত মাইলেজ সর্বোচ্চ (৩ হাজার টাক) তিন হাজার মাইল তথা ৩০ দিনের বেশি অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের ডিআরএম দপ্তরের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক আবু সুফিয়ান, পাহাড়তলী লোকোসেড শাখার আব্দুল লতিফ, আনিস, শান্ত, রাজু, গার্ডস কাউন্সিলের ফয়েজ আহমেদ, রোকন উদ্দীন, বিমল বড়ুয়া, শামীম, টিটিইদের পক্ষে সাইমুম হোসেন, শাহাদাত হোসেন, শ্রমিক নেতা খুরশিদ আলম, এমএম সাহেদ আলী, আব্দুল বারি, মীর এবি এম শাফকুল আলম, স্টেশন মাস্টারদের পক্ষে জাফর উল্লাহ, ফখরুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন/আবু জাফর