কঠোর লকডাউনের মধ্যেই স্বাভাবিক রয়েছে দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম। নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এ দুই সংস্থা গ্রহণ করেছে নানান উদ্যোগ। ফলে করোনা প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ের মতই সেবা পাচ্ছে আমদানি ও রফতানিকারকরা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের কারণে কাস্টমসের কার্যক্রমে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিক সময়ের মতই চলছে সবকিছু। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি ও রফতানিকারকদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেই প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হচ্ছে।’
জানা যায়, লকডাউন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের মতই চলছে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ। দেশের প্রধান এ সমুদ্র বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে ২৭ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বন্দরে কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হলেও জনবলের উপস্থিতি নিশ্চিতের মাধ্যমে জাহাজে পণ্য উঠা-নামা ও ডেলিভারি স্বাভাবিক রাখতে অবলম্বন করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। নানান পদক্ষেপের কারণেই স্বাভাবিক রয়েছে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং।
পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং লরিতে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ স্টিকার। বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পরিবহন বিভাগ, শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর এবং বন্দর ব্যবহারকারী অন্য পক্ষগুলোকে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ, কোয়ারেনটিন, এটমিক এনার্জি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের মতই। গত পাঁচ দিনে বন্দরে গড়ে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে আড়াই হাজার টিইইউএস। বন্দরে যাতে কন্টেইনার জট না লাগে সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। ৪৯ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার রাখার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বন্দরে সোমবার পর্যন্ত জমা পড়েছে ৩৫ হাজার ৩৭১ টিইইউএস কন্টেইনার। তাই কন্টেইনার জট এড়াতে বন্দরে আসা কন্টেইনারগুলো দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। কঠোর লকডাউনের বন্দরের আসা পণ্য খালাস প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাস্টমসও। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনবলের উপস্থিতি নিশ্চিত করে দেয়া হচ্ছে সেবা। স্বাভাবিক সময়ের মতই আমদানি-রফতানিকারকদের কার্যক্রম শেষ করা হচ্ছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই খালাস হচ্ছে বন্দরে আসা পণ্য।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা