শিরোনাম
১ জুলাই, ২০২২ ১৮:১৪

চট্টগ্রামে সবজির বাজারে অস্থিরতা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সবজির বাজারে অস্থিরতা

চলমান সময়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা। পিয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দামে চলছে অস্থিরতা। এরই মধ্যে সবজির বাজারের নানা জিনিসপত্রের দামও রয়েছে বেশি। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের সবজির বাজারে গিয়ে বিভিন্ন সময় দাম শুনে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।

চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম প্রায় প্রতি আইটেমে প্রতি কেজি ৫০ টাকার বেশি দামে বিক্রয় করছেন বিক্রেতারা। তবে পছন্দের সবজি কিনে খাওয়া কষ্ট হচ্ছে এবং নানা অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি সবজির বাজারের দাম বা চিত্র একই রকম দেখা গেছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী মার্কেট ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে সবজির বাজারেও দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা অস্বস্তি দেখা গেছে। নিত্যপণ্যের দামের পাশাপাশি সবজির বাজারেও দাম বেশি দেখে পছন্দের সবজির কিনতে সাহস করছেন না সাধারণ অনেক ক্রেতারা। প্রায় প্রতিটি বাজারে কমবেশি প্রতি কেজি শসা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০-৮৫, করলা ৭০-৮০, লাউ প্রতি পিস (ছোট-বড় ৫০-৮০), চাল কুমড়া পিস ৪০-৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৮০, চিচিঙ্গা ৫০-৬০, পটল ৫০-৬০, কচুর লতি ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৫০-৫৫ এবং পেঁপে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বহদ্দারহাট বাজারের সবজির বাজারে আসা মহিউদ্দিন নামে একজন ক্রেতা বলেন, যেভাবে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা কিভাবে পছন্দের সবজিগুলো কিনতে পারবেন? গ্রামে-গঞ্জে যেসব সবজির দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো নগরে ঢুকলেই ৫০ থেকে ৬০ টাকার উপরে দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। আমি পছন্দের একটা সবজি কিনতে গিয়ে দাম বেশি শুনে আধা কেজি করে পৃথক কয়েকটি সবজি নিয়েছি। তবে এসব সবজির দাম কিছুটা কমানোর দরকার বলে জানান তিনি।

বহদ্দারহাটের করিম নামের সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে যে পরিমাণে চাহিদা তার চেয়ে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কমে গেছে। তাই সবজির বাজারটা এখন চড়া। তাছাড়া মাছের বাজারে দাম আগের মতোই রয়েছে। বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি।

বাজারে প্রতিকেজি রুই-কাতল আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০, তেলাপিয়া-পাঙাস ১৫০ থেকে ১৮০, শিং মাছ ৩০০, শোল ৪০০, কৈ মাছ ১৮০ থেকে ১৯০ ও পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০, বোয়াল ৪০০, সিলভার কার্প ২০০, সমুদ্রের কোরাল ৪০০ ও মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০, সোনালি মুরগি ২৯০ ও লেয়ার ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, এক সপ্তাহ পার হলেও স্বস্তিতে নেই পিয়াজের বাজারেও। খুচরায় গত সপ্তাহের মতো আজও বড় আকারের পিয়াজ ৬০-৬৫ টাকা ও মাঝারি আকারের পিয়াজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বড় আকারের পিয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং মাঝারি আকারের পিয়াজ ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাজারে ভারতীয় পিয়াজ না থাকায় দেশি পিয়াজের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। এ কারণেই দাম বেশি হচ্ছে। তাছাড়া সরকার একটু মনিটরিং করলে দাম আরো কমতে পারে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর