মিথ্যা ঘোষণা এবং বেপজার আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে মদের চালান আমদানি এবং খালাসে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতে শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে এই চিঠি প্রধান করেন কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. ফখরুল আলম। চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইফুল হক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে-মদের চালানগুলো মিথ্যা ঘোষণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি ও খালাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, র্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে।
অতীতেও বিভিন্ন সময়ে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক দলিলাদি জাল কিংবা কর্মকর্তা/কর্মচারীর সিল-স্বাক্ষর জাল করার মাধ্যমে পণ্যচালান খালাস করার ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে জালিয়াতি বন্ধ হবে না। কাস্টম হাউস চট্টগ্রামে পৃথক একটি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং শাখা রয়েছে। এ শাখা থেকে মানি লন্ডারিং ঘটার আলামত রয়েছে এ জাতীয় সব মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই