চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব সাকেল-৪ (২৯,৩০,৩১,৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড) এর এসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ডের গণশুনানিতে গৃহকর কমানোয় সন্তুষ প্রকাশ করেছেন করদাতারা। রবিবার সকালে চসিকের পুরাতন নগর ভবনের কেবি আব্দুচ ছত্তার মিলনায়তনে করদাতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় গণশুনানি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
শুনানিতে মেয়র কর দাতাদের কাছে জানতে চান, আপনি কত কর দিবেন, কেউ বলেন পাঁচশত টাকা, কেউ বলেন এক হাজার টাকা, আবার কেউ আগের পরিমাণে কর দিতে ইচ্ছা পোষণ করেন। এসময় মেয়র তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কর নির্ধারণ করে দেন। গণশুনানিতে অংশ গ্রহণের জন্য ৩৫০টি নোটিশ প্রদান করা হয় এবং ৩০০টি আপিল নিস্পত্তি করা করা হয়।
মেয়র বলেন, কিছু অসাধু লোক নগরীর করদাতাদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাদের ব্যাপারে নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। মেয়র বলেন, আমি চট্টগ্রামের ছেলে। যে চট্টগ্রামের মানুষেরা আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নিবার্চিত করেছেন, তারাই গৃহকর নিয়ে ভোগান্তিতে পড়বে, এটা আমি কখনো হতে দেব না।
এ সময় করদাতাদের পক্ষে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের আবুল মুনছুর চৌধুরী বলেন, আমরা অনেক বিভ্রান্তিকর কথা শুনে গৃহকর নিয়ে ভীত ছিলাম। পরে বিভিন্ন লোকজনের পরামর্শে আপীল বোর্ডে আসলে ৯ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার ভ্যালুয়েশনকে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা করা হয়।
পশ্চিম মার্দার বাড়ীর মো. এয়াকুব বলেন, আমার ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার ভ্যালুয়েশনকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
আপীল রিভিউ বোর্ডের সভাপতি কাউন্সিলর শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়র, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রিভিউ বোর্ডের সদস্য প্রকৌশলী শহীদুল আলম, এ্যাড. তৌহিদুল আলম, কর কর্মকর্তা মো. সারেক উল্ল্যা, উপকর কর্মকর্তা হাসান আহমেদ, তুষার কান্তি দাশ, বিপ্লব কুমার চৌধুরী।
বিডি প্রতিদিন/এএম