রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে এ মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশির এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আগামী পয়লা মার্চ সাক্ষীর জন্য তিনি দিন ধার্য করেন।
এর আগে, আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা নাকচ করে দেন। শুনানিতে ওই দুই আইনজীবী বলেন, হয়রানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তাই তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
অভিযোগ গঠনের সময় বিএনপির পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মোস্তফা, বাবুল সরদারসহ ১০ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর বাকী দুইজন উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৭ জুন হরতাল চলাকালে গুলশান থানার মহাখালী রোডস্থ ওয়্যারলেস গেইটে শমসের মুবিন চৌধুরীসহ বিএনপির অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ কর্মী পুলিশের কাজে বাধা দেন। এছাড়া গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। পুলিশের কাজে বাধার একপর্যায়ে শমসের মুবিন চৌধুরী পুলিশ কনস্টেবল কাজী আলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পারা দিয়ে ধরলে তার জিব বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এর ঘটনার পর গত বছরের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন শমসের মুবিন চৌধুরীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর শমসের মবিন বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব