চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের ১নং দ্বীপ কালামোড়ল এলাকার হাসমত উল্লাহ শাহ্ বাড়ির পাঁচটি পরিবারের বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি পাকা দালান, একটি টিনের ও একটি বেড়ার ঘর। তাছাড়া পাশের আরও প্রায় ২০টি ঘরও ভাঙ্গনের মুখে আছে।
তবে রবিবার নবনির্বাচিত স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রায় চার হাজার বালি, কংক্রিট ও পাথরের বস্তা বসানো হয়। কিন্তু জোয়ার ভাটার প্রবল স্রোতে এসব ঠেকানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩নং শিকলবাহা ইউপির ইসমত উল্লাহর শাহ এর বাড়ীর বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন, শায়েরা খাতুন, আবদুস সালাম, মো. ইসলাম খান ও মো. সিরাজের বসত ভিটা প্রবল বর্ষণ ও জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এসব পরিবারের ৩০ জনের বেশি সদস্য আছে। তাছাড়া আরো ২০টি পরিবারের বসত ভিটা ভাঙ্গনের কবলে আছে। চরম উদ্বিগ্ন হয়ে আছে আশপাশের আরো কিছু পরিবার।
বসতহারা শায়েরা খাতুন বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় বড় শব্দ করে একটি ঢেউ এসে আমার বসত ঘরটি ভেঙ্গে যায়। এ সময় কোন কিছুই রক্ষা করার সুযোগ পাইনি। এখন আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। মাথা গুজবার এতটুকু ঠাঁইও নাই। এর আগেও আরো কয়েকবার এই নদীতে আমাদের ঘর বিলীন হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এখনো দায়িত্বগ্রহণ করিনি। কিন্তু নদী ভাঙ্গন দেখে কি বসে থাকা যায়? তাই গত চারদিন ধরেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাঙ্গন রোধে কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল ২০০ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে প্রায় চার হাজার বালি-কংক্রিটের বস্তা নদীর পাড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীকালও সবাই মিলে এ কাজ করব।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ