রাজশাহীর বেলপুকুর এলাকায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে আবদুল খালেক (২৮) নামে এক যুবকের দুই হাতের কব্জি উড়ে গেছে। অাশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বেলপুকুরের তাড়াশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আবদুল খালেক (২৮) চারঘাট থানার গোপালপুর এলাকার আবু বক্কর শেখের ছেলে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, পুঠিয়ার তাড়াশ এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে জাহিদের বাড়িতে আবদুল খালেকসহ কয়েকজন মিলে বোমা তৈরি করছিল। এসময় বোমা বিস্ফোরণ হলে আবদুল খালেকের দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়। এসময় অন্যরা আহত হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বোমা বিস্ফোরণের পর আবদুল খালেক বাড়ির মেইন সুইচের বোর্ডের সঙ্গে ঝুলছিল। এলাকাবাসী তাকে সেখান থেকে নামিয়ে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে আবদুল খালেককে আটক করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত আবদুল খালেকের অবস্থা অশঙ্কাজনক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার অস্ত্রেপচার চলছিল।
রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথুন জানান, আবদুল খালেকের দুই কব্জি এবং ডান চোখ উড়ে গেছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্প্লিন্টার আছে।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, আবদুল খালেক পুলিশের তালিকাভুক্ত জেএমবি সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। এর আগে জেএমবি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/ ০৫ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-২১