আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেছে একই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১২টায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী ও ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ সজল (অর্থনীতি) এর কক্ষে (কক্ষ নং-৪০১) প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মী। এরা হলেন ৪১ তম আবর্তনের সুব্রত কুমার সাহা (পরিসংখ্যান), অভিজিৎ অভি (আইআইটি), মনোয়ার (আইন), ৪২ তম আবর্তনের শিহাব (ভূগোল ও পরিবেশ), ইসমাঈল হোসেন (অর্থনীতি), ফরহাদ (ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং), আলী আহসান (পরিবেশ বিজ্ঞান), ৪৩ তম আবর্তনের সিফাত রাতুল (জেনেটিক্স), প্রিতম আরিফ (ইতিহাস), আজিমুশশান প্রণয় (ভূগোল) এবং ৪৪ তম আবর্তনের ফাহাদ (ইতিহাস)। এরা সবাই ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক বশিরুল হকের অনুসারী বলে জানা গেছে।
কক্ষে ঢুকে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তারা সজলকে এলোপাথারি মারধর শুরু করে। এসময় চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরায় সুব্রত কুমার সাহার আঙ্গুল কামড়ে দেয় সজল। এছাড়া পাল্টা আঘাত করার চেষ্টা করলে সজলের লাঠির আঘাতে সিফাত রাতুলের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে যায়।
এ নিয়ে শোরগোলের সৃষ্টি হলে হলের সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে ৪২ তম আবর্তনের ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা) পায়ে আঘাত পান।
পরে রবিউল একটি পিস্তল বের করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর মাথায় পিস্তল ঠেকান তিনি। আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন।
এদিকে রাজনৈতিকভাবে হল থেকে বিতারিত করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাবেদ সজল।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিছু জানেন না বলে জানান বশিরুল হক। অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন রবিউল ইসলাম। হল প্রভোস্ট ওবায়দুর রহমান বলেন, “আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”
বিডি প্রতিদিন/০৮ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-০১