গ্যাসের দাম দুই দফায় বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোম্পানি লাভে থাকার পরও গ্যাসের দাম বাড়ানোটা অযৌক্তিক। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে গ্যাসের দাম দুই দফায় বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার বিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে অবশ্যই জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বেশি প্রভাব পড়বে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। কারণ বিদ্যুৎ ছোটখোটো সব ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় দুই টাকা বাড়লে ভোক্তা পর্যায়ে তা ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এর প্রভাব বেশি পড়বে, যারা সীমিত আয়ের লোক তাদের ওপর। কারণ ১০০ টাকা বৃদ্ধি কিন্তু কম নয়। এক্ষেত্রে সরকার বিকল্প কিছু পদক্ষেপ নিতে পারতো। বিশেষ করে গ্যাস ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। কিন্তু গ্যাস ব্যবহারে তেমন কোন গাইডলাইন নেই। আমরা শুধু ব্যবহারই করে যাচ্ছি। এছাড়া যোগাযোগও এর একটা প্রভাব পড়বে। তবে ১০০ বা ১৫০ টাকা খুব যে একটা বেশি তাও না। আবার সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য এটা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম দুই দফায় গড়ে ২২.৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী, আগামী মার্চ থেকে আবাসিক খাতে দুই চুলার জন্য ৮০০ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে জুন থেকে আবাসিক খাতে দুই চুলার জন্য ৯৫০ এবং এক চুলার জন্য ৯০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক ইউনিট মার্চে ১৪.২০ টাকা এবং জুনে ১৭.০৪ টাকা হবে। আর সিএনজির দাম মার্চে প্রতি ঘনমিটার ৩৮ টাকা ও জুনে ৪০ টাকা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার