গাজীপুরের টঙ্গী আরিচপুর বৌ-বাজার রোড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ রাতে স্কুলের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত ঝর্না (১২) আরিচপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী। এঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের মা গামেন্টস শ্রমিক বানেছা বলেন, বিকাল পাঁচটায় স্কুল শেষে বাসায় আসে। এর কিছুক্ষণ পর দুইটি মেয়ে ও দুইটি ছেলে বাসায় এসে ঝর্নার ছোট বোনকে বাসা থেকে কৌশলে বের করে দেয়। এ সুযোগে ঝর্নাকে মেরে গলায় ওড়না পেচিয়ে তারা সটকে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ন’টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
বানেছা আরো বলেন, ওই এলাকার কাশেম মাদবরের বাড়িতে বানেছা ও তার পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ভাড়া ছিলেন। ওই বাড়ির ম্যানেজার আক্তারের সাথে তাদের বেশ কিছুদিন বিরোধ চলছিলো। এর পর গত তিন মাস পূর্বে ওই বাড়ি ছেড়ে রহুল আমিনের বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আক্তারের লোকজন ঝর্নাকে মেরে ফেলেছে বলে ধারনা করেন।
এদিকে নিহতের পিতা জাবেদ বলেন, আক্তারের ছেলে হাসান আমার মেয়েকে মেরেছে। তবে আক্তার এঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করেন। এব্যাপারে থানার ওসি ফিরোজ তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন হত্যা না আত্মহত্যা এবিষয়টি ময়না তদন্ত শেষেই বুঝা যাবে। তবে এঘটনায় মামলা হবে। নিহত ঝর্না কিশোর গঞ্জের কটিয়াদি থানার ধনকিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।