দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ক্ষতিপূরণ পেল একটি পরিবার। ২৬ বছর আগে রাজধানীর মৌচাকে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাফিয়া গাজীর পরিবারের হাতে গত মঙ্গলবার ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) একটি বাসের চাপায় ১৯৯১ সালের ২৯ মার্চ প্রাণ হারিয়েছিলেন নাফিয়া।
ক্ষতিপূরণ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ঘটনা। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি আইন বিল আকারে সংসদে উঠতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।
রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের সামনে মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিয়া গাজী। ২৬ বছর পর আদালতের নির্দেশে সেই মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ পেলেন নাফিয়ার বাবা কামাল আহমদ গাজী ও তার পরিবার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। তখন এ দুর্ঘটনা মানুষের মনে দাগ কেটেছিল। কারণ তখন মানুষের মন এখনকার মতো এতো কঠিন ছিলো না। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন নিহত নাফিয়ার বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।
নিহত নাফিয়ার বাবা মেয়ে নিহত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছিলেন বিআরটিসির বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালতও আপিল বিভাগ ঘুরে সম্প্রতি মামলাটির নিস্পত্তি হয়েছে। এতে আদালত নিহতের পরিবারকে এজাহারে দাবি করা ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, আগামী ৬ মাসের মধ্যে চার কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ