পরিচ্ছন্ন বিভাগের নাম পরিবর্তন করে করা হবে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ’। প্রকৌশল বিভাগ থেকে আলাদা করে করা হবে ‘পরিকল্পনা বিভাগ’। এক প্রকৌশল বিভাগকে ভেঙ্গে করা হবে সিভিল, যান্ত্রিক ও বিদ্যুত বিভাগ নামে। সিভিল বিভাগের অধীনে দেওয়া হবে রাস্তা সংস্কার-রক্ষণাবেক্ষণ, যাত্রী ছাউনি, যানজট নিরসন ও ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এভাবে বর্তমান অর্গানোগ্রামের নানা দৃশ্যমান পরিবর্তন এনে নতুন জনবলের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। নতুন প্রস্তাবনায় চাওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৫০৯টি পদ। প্রস্তাবনায় নতুন জনবলের পদবি ও প্রয়োজনীয়তাও ব্যাখ্যা করে দেওয়া হয়েছে। নতুন জনবল অনুমোদিত হলে চসিকের মোট পদসংখ্যা দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৪৫৫টি।
চসিকের সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, মূল কয়েকটি বিভাগে পরিবর্তনসহ ৫ হাজার ৫০৯টি পদের বিপরীতে নতুন জনবল চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি চট্টগ্রাম মহানগরের গুরুত্ব ও অবস্থান বুঝে মন্ত্রণালয় নতুন প্রস্তাবনা বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, চসিকের ১৯৮৮ সালের অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে পদ ছিল ৩ হাজার ১৮০টি। ২০১২ সালে ৬ হাজার ৫৪১টি পদের প্রস্তাবের বিপরীতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৪৬৬টি। তাছাড়া দু’মাস আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার লোক নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া যায়। এর মধ্যে এক হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চসিকের সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের কাঠামো অনুসারে বর্তমানে চসিকে প্রায় ৩ হাজার ১৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্মরত আছেন। চসিকের সাত বিভাগের মধ্যে বর্তমানে শিক্ষা বিভাগে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৭৯৬ জন, পরিচ্ছন্নতা বিভাগে ২ হাজার চারজন, প্রকৌশল বিভাগে ১ হাজার ৬৩৯ জন, স্বাস্থ্য বিভাগে ৮১৭ জন, সচিবালয় বিভাগে ৪৭৫ জন, রাজস্ব বিভাগে ৩৮৮ জন ও হিসাব বিভাগে ৫৬ জন। এ হিসেবে চসিকে বর্তমানে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে মোট ৭ হাজার ১৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জানা যায়, জনবল বাড়লে কয়েকটি আঞ্চলিক কার্যালয় করবে চসিক। এর ফলে কাজের নতুন ক্ষেত্র কয়েকগুণ বাড়বে। নতুন কাঠামোয় গণপরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহনে দেওয়া হবে একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। এর মাধ্যমে গাড়ি পার্কিং, হকার শৃঙ্খলা, যাত্রী ছাউনী, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করা হবে। প্রকৌশল, হিসাব এবং আইটি বিভাগ অটোমেশনের কাজ করবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন