একদিকে টানা বৃষ্টির কারণে হাওড় অঞ্চলের মানুষের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে, খাবার না দিতে পেরে সস্তায় গবাদিপশু বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে শহর অঞ্চলের মানুষও পড়েছেন বৃষ্টি বিড়ম্বনায়। যথাযথ পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে জনজীবন পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। মাঝ পথেই বিকল হয়ে যাচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন। কখনো বা যাত্রী নিয়ে উল্টে যাচ্ছে গাড়ি।
শুক্রবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকার বাসায় ফিরছিলেন এক দম্পতি। তাদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি হাঁটুপানি ডিঙ্গিয়ে বাসার খুব কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু কাপাসগোলা এলাকায় যেতেই কোমর সমান পানির নিচে পড়ে গেল তাদের গাড়ি। আর তাতেই বন্ধ গাড়ির ইঞ্জিন। আশপাশে একইভাবে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে থমকে আছে অন্য অটোরিকশাগুলোও। আজ যারা বাসা থেকে বেরিয়েছেন তাদের জীবনেও এই ভোগান্তি এসেছে।
শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। আর তাতেই পুরো শহরের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে পানির নিচে। এসময় কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারেনি। ফলে নগরীর ষোলশহর, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, চকবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ শহরের নিচু এলাকা ডুবে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান