রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে চাপ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের ওপর বল প্রয়োগের পথ ছেড়ে মিয়ানমার সরকারকে যৌক্তিক সমাধানের পথে আসতে হবে। কফি আনানের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাথে আমাদের ২৭১ কিলোমিটার বর্ডার। এটা পাহারা দেওয়া কঠিন ব্যাপার। মিয়ানমার বর্ডারে মাইন পুঁতে রেখেছে। যেটা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। তারা নিজেদের লোক মেরে ফেলেছে। তারা সম্মানের সাথে যাতে ফিরে যেতে পারে আমরা সেটা চাই। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আরো বলেন, নাগরিকত্ব না পাওয়ায় এবং নিদারুণ বৈষম্যের কারণে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন রাজ্যে মুসলমান রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে।
বিরোধিদলীয় নেতা রওশন বলেন, কফি আনান ওই প্রতিবেদন দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলা হয়। এরপর নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল চলছে। এই সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ও তাদের অবস্থা দেখতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাওয়ায় তিনি তাকে ধন্যবাদ জানান।
রাজধানীতে মানুষের চাপ বাড়ছে উল্লেখ করে রওশন বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে পরিবেশের দিকে নজর দিতে হবে। যানজট বাড়ছে। কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। ২৫ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। তিনি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে তিন চার মাসের মধ্য ধর্ষণ মামলার রায় দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
তিনি চলমান সংসদকে দেশে ‘প্রথম প্রাণবন্ত’ সংসদ আখ্যা দিয়ে রওশন বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সংসদ প্রাণবন্তভাবে চার বছর চলেছে। প্রত্যেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সরকার দল বিরোধী দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে। আগে বিরোধী দল সংসদে থাকতো না। থাকলেও বেশিরভাগ সময় কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হতো।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন