খুব ভদ্র পরিবার মনে করে ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দেয় বাড়িওয়ালা। খুব ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ জানতে পারল ওই পরিবারের গৃহকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় রয়েছে ১৪টি মামলা ও ৫টি জিডি। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় প্রকৃত রূপ দেখতে পায় বড়িওয়ালা। এতে ওই ভাড়াটিয়া নিজের বাহিনী নিয়ে বাড়িওয়ালাকে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার পরই বের হয়ে আসে ভাড়াটিয়া থলের বিড়াল। ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার গিরিধারা এলাকার বাড়িওয়ালা নাজমুল আলমের বাড়ির।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিটক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার ভুইগড় গিরিধারা এলাকার নাজমুল আলম খানের বাড়িতে ভাড়ায় স্বপরিবারে বসবাস করছে ভাড়টিয়া শাহাদাৎ হোসেন। তার স্ত্রী (নাম জানা নেই) সব সময় বাড়ির সামনে চেয়ার নিয়ে রাস্তার উপর বসে যে কোনো ব্যক্তির সাথে উচ্চ বাচ্য করে থাকে। এতে এলাকার বাড়িওয়ালাসহ এলাকাবাসী তার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগে শাহাদাৎ হোসেনকে বাসা ছেড়ে অন্যত্রে যেতে বললে তার ছেলে রাব্বিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে বাড়িওয়ালা নাজমুল আলমকে হত্যার হুমকি দেয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এক পর্যায়ে ২০ অক্টোবর নাজমুল আলম খানকে বাসায় ডেকে নিয়ে আটক করে হত্যার হুমকি দিয়ে শাহাদাৎ হোসেন এক লাখ টাকা জোর করে নিয়ে যায়। এরপর আরও ৯ লাখ টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দিলে বাসা ছাড়বে না। এ ঘটনায় ভীত সন্তস্ত্র বাড়িওয়ালা নাজমুল প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। পরে অভিযোগ তদন্ত করলে বের হয়ে আসে অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া শাহাদাতের বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন জনের দায়ের করা ১৪টি মামলা ও ৫টি জিডির কথা।
পুলিশ জানিয়েছে, শাহাদাৎ হোসেন ভুইগড় গিরিধারা এলাকার নীরিহ লোকজনদের নানাভাবে ভয় দেখিয়ে এবং বিভিন্ন জনের সই জাল করে জমির পাওয়ার দলিল ও বায়না দলিল করে লাখ লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেয়। শাহাদাৎ নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এলাকাবাসীকে ভয় দেখায়। মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দেয়ার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব