বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সাভারের আশুলিয়ায় প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে আশুলিয়ার আউকপাড়া থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর বাবা সোমবার রাতে ১২ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এঘটনার পর থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বখাটে ওই যুবকের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
ওই কলেজছাত্রী সাভার কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি আশুলিয়ার আউকপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর চাচা আসাদুজামান আসাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে, আশুলিয়ার কুমকুমারী এলাকার একটি হত্যার মামলায় বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আতাউর রহমানের বখাটে ছেলে লেমন মিয়া (২৪) প্রায়ই ওই ছাত্রীকে কলেজে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। পরে লিমন গত কয়েক দিন ধরে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত বলেও জানায় সে। গত দু’দিন আগে লিমন তাদের বাড়িতে এসে আশা আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে তারা ওই প্রস্তাব না করে দেন। এরপর থেকেই বখাটে যুবক লিমন তার ভাতিজিকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল বলেও জানান তিনি।
এর জের ধরে সোমবার বিকালে বখাটে যুবক লিমন তার চাচা স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা শফিক মৃধাসহ ১২ জনের সহযোগিতায় আউকপাড়া এলাকা থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনার পরে রাতে লিমনকে প্রধান আসামি ও তার চাচা শফিক মৃধা, সালমা আক্তার ,মনিম মুধা, মিতুল মৃধা,মামুনসহ ১২ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় ৬৬ নং একটি মামলা দায়ের করে।
কলেজ ছাত্রীর বাবা আনিছুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, লেমন মৃধা এলাকায় স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবেই পরিচিত। সে এর আগেও তার চাচা শফিক মৃধার সহযোগিতায় আরও কয়েকজন কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছে। তার ভয়ে অনেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এঘটনার কেউ প্রতিবাদ করলে ক্ষমতার জোরে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিত বখাটে যুবক লেমন মৃধা।
মেয়ের ফুফু সোনিয়া আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা একসাথে মেডিকেল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে রিকসার বাড়ি ফিরার পথে গ্রামীন ব্যাংকের সামনে একটি গাড়ি ও সাদা রঙের একটি হাইয়াস গাড়ি আসে। সাদা গাড়ি থেকে লেমন মৃধা একটি মাইক্রোবাসে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের তুলে নিয়ে যায়। আমাকে আউকপাড়া বাজারে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে ওই মেয়েকে নিয়ে য়ায়। এই ঘটনার আশুলিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে গাজীপুর , চাড়াবাগ, নংরসিদী এলাকার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একটি অপহরনের মামলা নেওয়ার হয়েছে। ১২জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে ওই কলেজছাত্রীর বাবা। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল