আশুলিয়ায় এক বিউটিশিয়ানকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নারী।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এদিকে মামলা পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক বখাটে হাসিব পলাতক রয়েছে।
ধর্ষক হাসিব আশুলিয়ার জামগড়া ভূইয়াপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদ ও সখিনা বেগমের ছেলে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ সে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় হাসিব আহমেদ এর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ভূইয়া মার্কেট এলাকায় একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করতো। এসময় বখাটে হাসিবের কু নজর পড়ে ওই বিউটিশিয়ানের উপর। বিভিন্ন সময় তাকে মোবাইলে ও সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হওয়া হাসিব আহমেদ লুকিয়ে ওই বিউটিশিয়ানে ঘরে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়লে বখাটে হাসিব অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী বিউটিশিয়ান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে হাসিব তার প্রয়োজেন আমার কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরও সে কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল কেনার জন্য আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। ব্যবসা ভালো না হওয়ায় আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। এঘটনায় হাসিব কৌশলে তার মোবাইল ফোনে আমাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি তার মা সখিনা বেগমকে জানানো হলে সে কোন সমাধান না দিয়ে উল্টো আমাকে বাসা ছেড়ে দিয়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোরশেদ আলী মোল্লা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ধর্ষনের অভিযোগ একটি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে । মামলা নং২৯, এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক ও ধর্ষনের ভিডিও চিত্র উদ্ধারের জন্য সাভার ও আশুলিয়ার এবং ধামরাই এলাকার অভিযান চলছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ১২ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান