নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বরিশালের ডা. পিয়াস রায়ের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা এলাকা। এদিকে মরদেহ সনাক্ত করার জন্য পরিবারের কাউকে নেপালে যাওয়ার সুযোগ বা তার মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরা। পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে নিহতের তালিকায় পিয়াসের নাম নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে এই দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ নিহত প্রত্যেকের পরিবারের একজন করে সদস্যকে নেপাল নিয়ে মরদেহ সনাক্ত করার সুযোগ দিলেও তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ডা. পিয়াসের পরিবার।
পরিবারের কারোর হালনাগাদ পাসপোর্ট না থাকায় নেপালে যেতে পারছেন না তারা। এ কারণে পিয়াসের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তার মা পূর্না রানী মিস্ত্রী এবং বোন শুভ্রা রায়।
বিশ্ব ঘুরে দেখার নেশা ছিল বরিশাল নগরীর আব্দুল গফুর সড়কের বাসিন্দা মেডিকেল কলেজ থেকে সদস্য পাশ করা পিয়াস রায়ের। ইতিপূর্বে বহুবার ভারত ও নেপালসহ দেশের অভ্যন্তরীন সকল দর্শনীয় স্থান ঘুরেছেন তিনি। গোপালগঞ্জ হালিমা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সদ্য এমবিবিএস পাশ করে তৃতীয়বারের মতো নেপাল ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
পিয়াস নগরীর গফুর সড়কের মধুকাঠি ভবনের বাসিন্দা ও ঝালকাঠির নলছিটির চন্দ্রকান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুখেন্দু বিকাশ রায় এবং বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পূর্ণা রানী রায় দম্পত্তির একমাত্র ছেলে। পিয়াসের একমাত্র ছোট বোন শুভ্রা রায় বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বিডি প্রতিদিন/১৩ মার্চ ২০১৮/হিমেল