গাজীপুরের শ্রীপুরে বখাটেদের ছুরিকাঘাতে মাদ্রাসার এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বখাটেদের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।
আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মরিচারচালা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের মরিচারচালা গ্রামের বাছির উদ্দিনের ছেলে হৃদয় (২০), ইয়াছিনের ছেলে রুবেল (২৫), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২৫) ও মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে দেলোয়ার (৩৫)।
আহত ছাত্রীর বাবা জানান, মাদ্রাসার পাশেই দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তির দোকানে বসে এলাকার অভিযুক্ত হৃদয়, রুবেল ও নাজমুল আড্ডা দিতেন। এসময় মাদ্রাসাগামী ছাত্রীদের প্রেম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বাজে কথা বার্তা বলতেন তারা। পরে আমার মেয়ে বাড়িতে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। পরে বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদকে অবগত করা হলে কমিটির লোকজন ওই দোকানে আড্ডা দেয়া বন্ধ করে দেন এবং ওই বখাটেদের এ বিষয়ে সাবধান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বখাটেরা সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার ভেতর গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দেয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর ওই ছাত্রীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার পাশে দেলোয়ারের দোকানের সামনে আসা মাত্রই আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই বখাটেরা দা, ছুরি, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ছুরির আঘাতে ওই ছাত্রীর বাম হাতে কব্জির মধ্যে লেগে হাতের রগ কেটে যায়।
এসময় মাদ্রাসার ১০ শ্রেণীর ছাত্র শাওন, মানিক, ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রানা তাদের বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে গুরুত্ব আহত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবুও তাদের আটক করতে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/০২ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম