তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে এমন কোন আইন হবে না। ডিজিটাল আইন কোনভাবেই মতামত নিয়ন্ত্রণের আইন নয়, কেবলমাত্র ডিজিটাল অপরাধ দমনের আইন। ডিজিটাল জগতকে নিরাপদ করারআইন। এই আইন ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যর বিকাশের গ্যারন্টি দিচ্ছে। এই আইন কোনভাবেই সোশ্যাল গণমাধ্যম বন্ধের চক্রান্ত নয়। ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের জন্য সুরক্ষা থাকবে। সোশ্যাল গণমাধ্যম অব্যাহত থাকবে এই জায়গায় সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করা হবে না। সাংবাদিকের সোর্স নিয়েও কোন প্রশ্ন তোলা হবে না।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: শঙ্কা ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক গোল টেবিলে আলোচনায় আজ তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মফিজুর রহমান, আইনের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক নেতা গাজী টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাবির অধ্যাপক শফিউল আলম, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক প্রভাস আমিন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম কর্মী নির্যাতনকারীর কোন দায়মুক্তি নেই। সিরাজগঞ্জের মেয়র এখন জেলে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাংবিধানিক সুরক্ষা সাপেক্ষই এখানে সকল আইন হবে। সরকার গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ নয় পরিপূরক মনে করে। তবে সামরিক শাসন ও সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জাল ও অনুচর চক্র সব জায়গায় আছে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের তথ্য অধিকার আইন দিয়েছে, রাষ্ট্রকে আপনাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। সরকার অনলাইন নীতিমালা করেছে, সম্প্রচার আইন করেছে। সম্প্রচার আইন কমিশন করেছে। সাংবাদিক যেন কোনভাবে হয়রানীর শিকার না হয় তার ব্যবস্থা করেছে। মানহানির মামলা হলেই সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। আপনারা ব্যাংক ডাকাত, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এমপি-মন্ত্রী সবার বিরুদ্ধে লিখতে পারেন। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও এরমধ্যে সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে আইনমন্ত্রী ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী কথা বলেছেন। যেসব জায়গায় উদ্বেগ আছে এর মধ্যে সংসদীয় কমিটিতেও তাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য ডাকা হয়েছে। এর মাধ্যমে আইনটি পূর্ণাঙ্গ হবে।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকদের যেন ভয়ের মধ্যে থাকতে না হয়, সে গ্যারিন্ট দিতে হবে। মুক্ত গণমাধ্যম স্বাধীন সাংবাদিকতার পূর্বশর্ত। কোনভাবেই সাংবাদিকদের ওপর তৃতীয় পক্ষের নিয়ন্ত্রণ চাই না।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন