আশুলিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির আইনে করা মামলায় গ্রেফতারের পর বৃস্পতিবার সকালে ৪ শিক্ষার্থীকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এসব শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কে দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাদের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় আশুলিয়ার গাজীরচট, ডেন্ডাবর ও শ্রীপুর এলাকা থেকে হাবিব, আলিফ, রিয়াদুল ইসলাম রাব্বিসহ মোট চার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
আটককৃত হাবিবের মা লাবনী বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার তাদের বাসা। রাত আড়াইটায় আশুলিয়ার থানার উপ পরিদশক (এসআই) মুকীব এর নেতৃত্বে পুলিশের দল অভিযান চালানোর কথা বলে বাসায় প্রবেশ করেন।পরে তার ছেলে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের বিবিএ শিক্ষার্থী হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার ল্যাপটপও সাথে নিয়ে যায়। হাবিব ৪ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় সে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' লেখা একটি প্লাকার্ড বহন করেছিল। সেই ছবি সে তার ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। এ ছাড়া তার ছেলে কোন অপরাধ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত আলিফের মা নাহার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আলিফ এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। সে আশুলিয়ার একটি ক্লিনিকে পার্টটাইম একটি চাকরি করে। এ আয় দিয়েই তার লেখা-পড়া চলে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাইপাইলে সেও হাজির হয়েছিল। আলিফ স্বণির্ভর ধামসোনা ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
রিয়াদুল ইসলাম রাব্বিও বাইপাইলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হাজির হয়েছিল। তাকে শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ৪ শিক্ষার্থীকে রাতে বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। তাদের ঢাকা নিম্ন আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে থানা পুলিশ।
এ ঘটনার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহমিদ উল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একটি তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা