সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা এখন পুরো নগরজুড়ে। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নগরবাসীর মাঝেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা। সম্মেলন না করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিগগিরই নতুন কমিটি পাবে মহানগর আওয়ামী লীগ এমন খবরে সক্রিয় হয়ে উঠছেন পদপ্রত্যাশী নেতারাও।
জানা গেছে, তিন সিটির নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিলেট সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর পরাজয় সহজভাবে নেয়নি আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। তাই মূলত এ কারণে সিলেট আওয়ামী লীগের কমিটি নতুন করে গঠনের বিষয়টি আলোচনায় উঠেছে।
তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত সিলেট-১ আসন। এ আসনে যে দলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সেই রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন করে। এই আসনের দুই তৃতীয়াংশই সিলেট মহানগর এলাকা নিয়ে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে আরও গতিশীল করতেই গঠন করা হতে পারে নতুন কমিটি। আর এই কমিটি যদি করা হয় তবে তা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই করা হবে। বিগত দিনে যারা দলের জন্য ভূমিকা রেখেছেন এবং দায়িত্ব পেলে দলকে আরো চাঙ্গা করতে পারবেন তারাই আসবেন নতুন কমিটির নেতৃত্বে।
সূত্র আরও জানায়, নতুন কমিটি গঠনের ব্যপারে স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ না হলেও সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে এ নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আর আগামী ৩০ আগস্ট সিলেটে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। এদিন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ধারণা করা যাচ্ছে, সেদিনই কমিটির ব্যপারে কোন ইঙ্গিত দেবেন তিনি।
এদিকে নতুন কমিটি গঠনের গুঞ্জনেই গতি বেড়েছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় নেতারাও বড় পদে আসতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। চলছে লবিং-তদবিরও।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে সিলেট মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে সিলেট মহানগর সভাপতি হন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং সাধারণ সম্পাদক হন আসাদ উদ্দিন আহমদ। আর, সিলেট জেলা সভাপতি করা হয় আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় শফিকুর রহমান চৌধুরীকে। তিন বছর মেয়াদের এই কমিটি দিয়েই এখনো পরিচালিত হচ্ছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম।
তবে, এদের মধ্যে বর্ষীয়ান নেতা আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান ২০১৫ সালে ইন্তেকাল করায় জেলা আওয়ামী লীগ চলছে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা