রাজধানীতে এক যুবতী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবতীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক ব্যক্তি তাকে ঢামেক হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ঢামেক সূত্র বলছে, মেয়েটির গায়ে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে গেঞ্জি, পেঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে চাদর। তখনো মেয়েটির রক্ত বের হচ্ছিল। প্রথমে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে গাইনি বিভাগে পাঠান এবং সেখান থেকে ওসিসিতে পাঠানো হয়। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় তাকে পুনরায় গাইনি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
ওসিসির সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম মেয়েটির বরাত দিয়ে বলেন, সে তার নাম-ঠিকানা বলে, তার স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। তার এক পুত্রসন্তান রয়েছে। সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে তার নানা-নানীর কাছে রেখে গত এক সপ্তাহ আগে চাকরির জন্য সৎ বোন সুলতানার বাসা গুলিস্তানে আসে। সেখানে এসে সে জানতে পারে তার বোন ভালো না। রবিবার রাতে সৎ বোনের সহযোগিতায় চারজন যুবক তাকে একে একে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে গতকাল সকালে একজন ঢামেক হাসপাতালের পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। মেয়েটি গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে মনে করছি। আমরা তার থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করেছি। মেয়েটি চিকিৎসার জন্য গাইনি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। যতটুকু জানতে পেরেছি তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, যেহেতু মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, আমরা তার পাশে নারী পুলিশসহ একটি টিম রেখে দিয়েছি। সে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করা হবে। প্রাথমিকভাবে মেয়েটি বলেছে, ঘটনাস্থলের পাশে মুরগির দোকান ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাপ্তানবাজার এলাকা হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার