জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও তারা (সরকারি দল) জয়লাভ করতে পারবেন না, তাদের করুণ পরিণতি হবে। কারণ দেশে যে ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয় না কোনোভাবেই বর্তমান সরকার ছাড় পাবে। মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্টও অনেক কারচুপির পাশাপাশি বিরোধীদের দমন পীড়ন চালিয়েও রেহাই পায়নি।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ডা. ফয়জুল হাকিম। লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে অস্থায়ী সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বদরুদ্দীন উমর জানান, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের ব্যাপারে কিছু বক্তব্য আছে। তিনি বলেন, যারা বর্তমানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, তাদেরকে সর্তকতার সাথে এগুতে হবে। আমার দল এধরণের নির্বাচনের পক্ষে নয়। তারপরেও আমরা নির্বাচন বিরোধী নই। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তো সামরিক সরকার বা একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় চলে আসে। তাই একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরাও চাই।
তিনি আরো বলেন, নিজেদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সর্বত্র সর্তক থাকার ব্যাপারে জনগণের কাছে বার্তা পৌছে দিতে হবে। সর্বস্তরের জনগণ, ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবিদের প্রতি আহবান জানাতে হবে, তারা যেন ভোটের দিন ভোট কেন্দ্র পাহারায় রাখে।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্ট সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা সভাপতি জাফর হোসেন, বিশিষ্ট প্রকৌশলী বি.ডি রহমতউল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ সভাপতি মাসুদ খান, বাঙলাদেশ লেখক শিবির সভাপতি হাসিবুর রহমান, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটির ওমর তারেক চৌধুরী, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি পারভেজ লেলিন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ সভাপতি বিনয়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা বরুন চাকমা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতা দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার