সমাজ কল্যাণ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ, অনুদান ও স্বীকৃতি প্রদানের বিধান রেখে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ বিল, ২০১৯ উত্থাপিত হয়েছে সংসদে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে আ সংসদের বৈঠক বিলটি উত্থাপন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
বিলে আইনের উদ্দেশ্য পূরণে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ গঠিত হবে।
এজন্য সমাজকল্যণ মন্ত্রীকে সভাপতি করে ৮৪ সদস্যের একটি পরিচালনা বোর্ড এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান করে ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি থাকবে। পরিষদের কাজ হবে দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন সমাজকল্যাণ প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন করা। বিশেষ করে, সমাজের নারী, শিশু, অনগ্রসর, সুবিধা বঞ্চিত বা কম সুবিধা প্রাপ্ত ক্ষুদ্র জাতি সত্তা, নৃগোষ্ঠী, বৃদ্ধিপ্রতিবন্ধি, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী, চা-বাগান শ্রমিকসহ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে আর্থিক অনুদান প্রদান করা। বিলে বিদ্যমান সমাজকল্যাণ রেজুলিউশেন রহিত করার প্রস্তাব করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৫৬ সালের ২ জানুয়ারি একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ গঠিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭২ সালে রেজুল্যুশনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ। বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ ক্ষেত্রে পরিষদের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও সুসংহত করতে আইনটি যুগোপযোগী করতে আইনটি প্রয়োজন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন