কারাবন্দি এক আসামির জামিনের তদবির করতে এসে গ্রেফতার হওয়া ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা সোহাগকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) কাছে মামলার তদবির করতে এসে গ্রেফতার হন সোহাগ।
পরে আজ সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মওদুদ হাওলাদার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন। রিমান্ডকৃত সোহাগ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিশ্বাস বেতকা মুন্সিপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে।
জানা গেছে, জুয়েল রানা সোহাগ নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী জজ) পরিচয় দিয়ে ঢাকার সিএমএম মো. জাহিদুল কবিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন। ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়ায় সিএমএম তাকে খাসকামরায় সাক্ষাৎ দেন। সাক্ষাতের সময় তিনি নিজেকে ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত বলে জানান। এক পর্যায়ে তিনি একটি মামলার একজন আসামির জামিনের বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন। ওই ব্যক্তি সে সময় ‘সারেন্ডারের’ স্থলে ভুল ইংরেজি শব্দ ‘স্যালেন্ডার’ ব্যবহার করেন। এতে সন্দেহ হয় সিএমএম জাহিদুল কবিরের। তখন সিএমএম ওই ব্যক্তিকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেন। এরপর ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষার রোল নম্বর জানতে চাইলে তিনি পকেট থেকে একটি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বের করে দেন, যেখানে রোল নম্বর ছিল ৮২০৩। ওই রোল নম্বর যাচাই করে দেখা যায়, ওই রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীর নাম ছিল আব্দুল্লাহ আল নোমান।
তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্র। বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। পরে জেরার এক পর্যায়ে সোহাগ স্বীকার করে যে, প্রতারণার জন্যই আব্দুল্লাহ আল নোমানের রোল নম্বর ব্যবহার করে সেখানে নিজের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা বসিয়ে ব্যবহার করছেন।
পরে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই অনিল চন্দ্র রায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে আরো তিনটি প্রতারণা মামলায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল