ঈদের চতুর্থ দিনেও কুমিল্লার ঈদ বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে ভাঙা সড়ক আর বৈরী আবহাওয়া না হলে আরো দর্শনার্থীর উপস্থিতি বাড়তো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে শালবন বৌদ্ধ বিহারে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদকে কেন্দ্র করে শালবন বৌদ্ধ বিহারসহ পাশের রুপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া, নগরীর চিড়িয়াখানায় ও বাণিজ্যিক পার্কগুলোতে আশপাশের জেলা ও সারা দেশের দর্শনার্থীরা ভিড় করেছে।
সূত্র মতে, কুমিল্লা মহানগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি যাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)। এছাড়া কোটবাড়ি এলাকা নতুন করে গড়ে উঠেছে কয়েকটি বাণিজ্যিক পার্ক। তাই তো বিনোদন নিয়ে ঈদের চতুর্থ দিনেও এখানকার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। তবে কুমিল্লা নগরীর চিড়িয়াখানায় মানুষ বেড়াতে গেলেও পশু-পাখি না থাকায় দর্শনার্থীরা হতাশ হয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকার পাশের সড়ক গুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। বিভিন্ন স্থানে সড়কের গর্তে ছোট যানবাহনগুলো আটকে যাচ্ছে। কোথাও ছোট যান উল্টে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা এইচ এম সিরাজ জানান, শালবন বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর। পুরার্কীতি দেখার সাথে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এখানে গণ শৌচাগার সংকট এবং সড়কের দুরবস্থা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে। প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে পর্যটনে কুমিল্লা আরো বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে।
ব্যাংক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।
ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে এখানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। তবে সড়কের দুরবস্থা আমাদের হতাশ করেছে। ঈদের চার দিনে ছয় লাখ টাকার মতো আয় হয়েছে। সড়ক আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে আয় কম হয়েছে। বেলতলী বিশ্বরোড এবং বার্ডের পাশের দুইটি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এনিয়ে আমরা সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জুন, ২০১৯/মাহবুব