সাভারে একটি মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় দাতা সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী কলাতিয়া পাড়া এলাকার বড় পাকা জামে মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী কলাতিয়া পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল বাসেকের ছেলে মো. মমিন মিয়া (৫০), মো. সোরহাব আলীর ছেলে মোঃ আয়নাল হক (৪৪), মো. মিজানুর রহমান (৪৫), মো. পিয়ার হোসেন (৪০), ইয়ার হোসেন (৪৩), শামসুল ইসলাম (৫০) ও ইমু (২০)। এদের মধ্যে মমিন মিয়া ও আয়নাল হককে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, আমাদের বাড়ির পাশেই শ্যামলাসী কলাতিয়া পাড়া বড় পাকা জামে মসজিদ। যার জমি ও মসজিদ নির্মাণের জন্য আমরা অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছি। সেই হিসাবে মসজিদের কমিটিতে থাকার কথা আমাদের পরিবারের লোকজনের। কিন্তু সাভারে ভার্কূতা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জোরা খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. ইয়াকুব আলী দীর্ঘদিন ধরে ঘোষিত সভাপতি হয়ে আমাদেরকে মামলা-হামলা চালিয়ে আসছে। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এরজন্য গত দুই মাস ধরে এলাকাবাসী ইয়াকুব আলীর কাছে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে আসছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আগে থেকেই নিয়ে আসা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়। এসময় আহত হয় ১৫ জন।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি মসজিদের সভাপতি। যারা অভিযোগ করেছে তারা আমাদের সমাজের কেউ না। এরপরও জোরপূর্বক মসজিদের হিসাব চাইলে আমরা কমিটির পক্ষ থেকে হিসাব দিয়ে দিছি। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল