রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি সাংবাদিক পরিচয়ে ইস্তানবুল হয়ে গ্রিসে যাওয়ার সময় দুজনকে আটক করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সদস্যরা। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, মানব পাচারকারীরা নানা সময়ে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে। দেখা গেছে কখনও সংগীতশিল্পী, কখনও কবি, সাংবাদিকসহ নানা পরিচয়ে পাচারের কৌশল নেয় পাচারকারীরা।
বিমানবন্দরে গত ৮ অক্টোবর আটক হওয়া দুই অভিযুক্তের নাম মো. দুলাল খান ও মো. শাহাদাত হোসেন। তাদের কাছে পাওয়া যায় ‘দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি’ নামের একটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র। জিজ্ঞাসাবাদে মো. শাহদাত হোসেন জানান, আ. রহিম নামের এক দালালের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে তার। দালাল রহিম তাকে এমএম ওহি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর মালিক ওসমানের কাছে নিয়ে যান। ওসমান তাকে নয়া পল্টনে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার নয়া পল্টনের ৮৫/১ ভবনের ৫ম তলার অফিসে নিয়ে যান। পত্রিকাটির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী তাকে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার অফিস অ্যাসিন্ট্যান্ট এর আইডি কার্ড ও ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল খান জানান, তার সঙ্গে এমএম ওহি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর মালিক ওসমানের সঙ্গে সাত লাখ টাকার চুক্তি হয়। জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক কিবরিয়া তাকেও বানিয়ে দেন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারের আইডি কার্ড ও ভিজিটিং কার্ড। বিমানবন্দরে প্রবেশের পর আইডি কার্ড গলায় ঝুলানোর কথা দুলাল ও শাহাদাত দুজনকেই শিখিয়ে দেন সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী। তাদের কাছে বিমানবন্দরের ডিউটি এএসপির ফোন নম্বরও দিয়ে দেওয়া হয় যোগাযোগের জন্য। দুলাল ও শাহাদাত বিমানবন্দরের আসার পর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ডিউটি এসএসপির ফোন নম্বরে কল করলে, তাদের এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়। কাউন্টার থেকেই তাদের দুজনকে আটক করেন এনএসআই সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা