ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিনটি চুক্তি সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক পেশাজীবী বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
"দেশজুড়ে নৃশংস-বর্বর-হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ" শীর্ষক এ সমাবেশে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার এবং উপকূলের রাডার সিস্টেম ভারতকে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া- এসব কিছু হলো আমাদের সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করার সামিল বলে আমি করি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলেন। আমরা অনেক আশা-ভরসা করেছিলাম, অন্তত তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের একটি সমাধান তিনি নিয়ে আসবেন। গত ১০ বছর হলো এই সরকার ক্ষমতায় আছেন। কিন্তু তিস্তা নদীর আমাদের যে ন্যায্য হিস্যা তা এই সরকার আদায় করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, কি করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন, আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করে দেন নাই। আজকে সারাদেশের মানুষ জানে যে, ফেনী নদীর পানি প্রতি সেকেন্ডে যাবে ৫০ লিটার। আর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় যাবে ৪ লাখ লিটার! আমাদের দেশের পানি খুবই প্রয়োজন। কারণ আমাদের শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। কিন্তু যিনি এই পানি দিয়ে আসলেন, তিনি বললেন যে- বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ বিক্রি করে দিয়ে আসেন নাই।
আবরার হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্য, সমালোচনামূলক বক্তব্য ও বাক-স্বাধীনতা প্রয়োগ করার জন্য আবরারের যে মৃত্যু হয়েছে- এজন্য আমরা শহীদ আবরার দিবস হিসেবে ওই দিনটিকে পালন করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তি এবং আবরার হত্যার প্রতিবাদসহ গত ১০ বছরে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে- রাজপথ। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। আর এজন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দল, দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক এবং জাতীয়তাবাদী দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই আন্দোলন সফল করতে হবে। আর এই আন্দোলন আজকে না হোক, একদিন সফল হবে। কারণ এই আন্দোলন গণমানুষের।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা এম. আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম