এমভি ইয়াদ লঞ্চের ধাক্কায় শিশু জাইমার পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দ্রুত তার চিকিৎসার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিতে লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু জাইমার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং শিশুটির বাবার করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুরের রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল হাসান ও শাহীনুজ্জামান শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তুষার কান্তি রায় বলেন, আদালত রুল জারি করে চিকিৎসার জন্য শিশু জাইমার পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিতে সাত থেকে ১২ নম্বর বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছর (২০১৭ সালের) ২৯ ডিসেম্বর ছয় বছরের শিশু কন্যা জাইমা নেওয়াজ জিসা, বাবা জামাল গাজী, মা নাজমুন নাহার ও ছেলে খাঁজা গরীবে নেওয়াজকে নিয়ে ঢাকা থেকে আমতলীতে আসার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে আসেন। এমভি ইয়াদ লঞ্চটি ফতুল্লা ঘাটে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিশু জাইমা ছিটকে গিয়ে লঞ্চ ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে ডান পা আটকে যায়। শিশু জাইমার ওই পায়ের পাতার সম্মুখভাগ বিছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশু জাইমার বাবা জামাল গাজী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ মালিক মামুন অর রশিদসহ ৬ জনকে আসামি করে দক্ষিণ কোরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
