রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকলেও তাদের স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দিয়ে আসছিলো বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডের দিন মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রেজিস্ট্রেশনও ছিল মেয়াদোত্তীর্ন।
শনিবার বিকেলে নগর গোয়েন্দা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়ে এই প্রতারণা। এ সময় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করার পাশাপাশি এর দুই মালিককে ৬ মাস করে এবং দুই কর্মচারীকে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। দণ্ড ঘোষণার পরপরই তাদের ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, আগরপুর রোডর দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক মো. জাকির হোসেন খন্দকার ও শের-ই বাংলা মেডিকেলের টেকনোলজিস্ট মো. মজিবর রহমানের সিল-স্বাক্ষর এবং নকল সামগ্রী ব্যবহার করে রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। তাদের রেজিস্ট্রেশেনের মেয়াদও অনেক আগে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ কারণে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেয়া হয়। একই সাথে মুন মেডিকেল সার্ভিসেসের দুই মালিক যথাক্রমে হোসেন শাহিন ও শ্যামল মজুমদারকে ৬ মাস করে এবং দুই কর্মচারী ইব্রাহীম রানা ও শ্যাম সাহাকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল